Thursday 12 April 2012

praei vabi amake dia chudte valobastho

praei vabi amake dia chudatho karon vaia tho besi varithe thake na
প্রায়ই ভাবি আমার ভেতরের আমিটা কি সত্যিই আমি

ছোটবেলা থেকে নানীর বাড়ী যাবার জন্য আমার মনটা সবসময় আকুপাকু করতো। পরীক্ষা শেষ হলে বা ইদে নানু বাড়ী যেতেই হবে। নানু বাড়ীতে আমার তেমন কোনো মামাতো ভাই বা বোন ছিলো না তবে আমার নানুর ছোট বোন সর্ম্পকে আমার ও নানু হয় উনার পাচঁটি ছেলে ছিলো, তারা সর্ম্পকে আমার মামা। তারা প্রায়ই আমার সববয়সী ছিলো। তাই আমাদের মাঝে একটা ভালো সর্ম্পক গড়ে উঠে। যা কিছু করতাম সব একসাথে, খেলাধুলা, ঘুমানো, চুরি, বান্দরামি, শুধু টয়লেটে একসাথে যাওয়া ছাড়া।

আমাদের ছয়জনের ছয়টা ছদ্মনাম ও ছিলো। ছদ্মনাম হবার পিছনে একটা কাহীনিও আছে। ছদ্মনামগুলো আসলে যার যেটার প্রতি দূর্বলতা বা কাহীনি ছিলো তাকে সেটা বলে ডাকা হতো। যেমন:
রোমলে= হাতকাটা
বাবুল= জরিনা
রাসেল= বিউটি
জুয়েল= ডাইলের মাতা
কাজল= তারিন
আর আমার নাম ছিলো হুজুর।

রোমেলের নাম হাতকাটা হবার কারন হলো আমাদের নানুর বাসায় হাতকাটা একটা মেয়ে কাজ করতো যার শুধু একটাই হাত ছিলো কিন্তু অনায়াসে সব কাজ সুন্দর করে করতো, রোমেল ওই মহিলার সাথে প্রায় সময় কাজে সাহায্য করতো আর তার কাটা হাতটার দিকে চেয়ে থাকতো। একদিন সে মহিলাটি কিভাবে একহাতে সব কাজ করে তা উপলব্ধি করবার জন্য নিজের হাত কেটে ফেলতে চেয়েছিলো। সে ব্যর্থ হয় তার পর থেকেই তার নাম হাতকাটা।

বাবুলের নাম ছিলো জরিনা তার কারন হলো নানু একবার তাকে দোকানে পাঠাইছিলো জিরা আনতে, বাবুল আবার হালকা তোতলা ছিলো। সে জিরা আনতে দোকানে গেছে, কামালের দোকান বন্ধ পেয়ে সে শাহআলমের দোকানে গেছে( শাহআলমকে আবার সে ভয় পেতো, কি কারন তা আমরা জানি না) দোকানে আবার শাহআলম ছিলো সে দোকানে গিয়া জিরার বদলে জরিনাকে চাইয়া বসলো, জরিনা দেন জরিনা দেন, শাহআলম ক্ষেপে গিয়ে তাকে লাঠি নিয়ে সেকি তাড়া, এর পর থেকে বাবুলের নাম জরিনা
(জরিনা ছিলো শাহআলমের বউ)

রাসেল আবার বেশ ভালো ছাত্র ছিলো। কথায় কথায় ইংরেজি বলতো, যেমন ভেরী গুড, ওয়াট আর ইউ ডুয়িং? আরো অনেক, তো কমন একটা কথা ছিলো তার সব কথার শেষে সে বিউটি বলে উঠতো, সুন্দর কোনো জায়গা দেকলে বা খানা ভালো হলে বা সুন্দর জামা হলে বা তার কোনো কাজ হলে প্রায় নানা বিধ কথার শেষে সে বলতো বিউটি। কিছুদিন পর সে যখন পরীক্ষায় ফেল মারলো তখন আমরা তাকে হাউ বিউটি বলে চেতানোর চেষ্টা করতাম, আসলে এর পর থেকেই সে হয়ে গেলো বিউটি।

জুয়েলের নাম ছিলো ডাইলের মাতা। আসলে বেচারা অত্যাধিক রাগী ছিলো। কিছু থেকে কিছূ হলেই সে রাইগা যাইতো আর ডাইলের মাতা বলতো, এটা কোথাথেকে আবিস্কার করছে তা আমরা জানি না। একদিন তারে আমরা জিগাইলাম জুয়েল ডাইলের মাতাটা কুন দিকে? সে কি ক্ষেপা, তার পর থেকে সে রাগলেই আমরা তারে ডাইলের মাতা কইয়া ক্ষেপাইতাম।

কাজলের নাম আছিল তারিন। আসলে তারিন আছিলো আমাগো নানুর বাড়ীর এলাকার সবচেয়ে সুন্দরী মাইয়া তার লগে আবার কাজলের ছুঠু বেলা থেকে বিয়া ঠিক ছিলো। তা কাজল বাবু কাউরে কিছু কইতে হলেও তারিনের রেফারেন্স দিতো, যেমন তারিন ব্যাডমিন্টন খেলায় জিতছে তোরা তো দেহি খেলতেই পারোস না, আবার এলাকার সব মাইয়া খারাপ হইয়া গেছে কিন্তু তারিনরে দেকছোস কি ভদ্র!!! আমাদের কাছে মাঝে মাঝে মনে হইতো তারিন আসলে তারিন না এই কাজল শালাই তারিন উপরে পুরুষ আর ভিতরে তারিনের ভুত। এর পর থেকে তারে আমরা নাম চেন্জ দিয়া তারিন নামে ডাকতাম,,, সে ক্ষেইপা কইতো আরে তারিন তো তারিন আমি কি তারিন নাকি?

বাকী রইলাম আমি। আমার নাম ছিলো হুজুর। ঘটনা ছিলো খুবই আহতদায়ক। কোনো এক ইদের দিন আমি বাকী সব সহ বাইরে ঘুরতে গেলাম... তখন আমার উচ্চতা ছিল ৫ ফুট ৭ বলতে আমি সবার চাইতে লম্বা ছিলাম আর আমার মুখ ভর্তি উঠতি দাড়ি ছিলো। যাই হোক গেলাম এক বাসায় নাস্তা দিলো আর আমারে সবাই আপনে আপনে কইরা কইতে লাগলো, বুঝলাম না। একটু পরে বাসার মুরুব্বী আসলো তিনি আমারে দেইখা খুব নরম ভাবে আমার বেশি আপ্যায়ন করলেন, আমি কিছুই বুঝলাম না,,, তিনি নানা প্রশ্নে আমাকে জর্জরিত করতে থাকলেন, যেমন আচ্ছা আপনার কি মনে হয় আমাদের দেশটা কি ইসলামী শাসন নিয়া চলা উচিত না? আমি হা কইরা চাইয়া রইলাম... কি কমু কিছুই বুঝতে পারলাম না... আমার মামুরা সব মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো। আমি শরমে পইরা কিছু কইতে পারি না, পরে আমারে কয় আমার ছুঠু মেয়েকে আপনে একটু আরবী শিক্ষা দিবেন দয়া করে? এবার আমার ভিতরে খবর হইয়া গেছে। আমি এক নিশ্বাসে কইলাম আংকেল আমি ক্লাস টেনে পড়ি, এই পান্জাবীটা আমার নানী দিছে আর দাড়িটা আম্মা কাটতে দেয় না, এই বইলা ভো দৌড়...........

0 comments:

Post a Comment